জাতীয় ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন করার সার্বিক প্রস্তুতি বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরে ধরবেন কমিশন।

কমিশন সূত্র জানায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বা পরের দিন তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, তফসিলের পর নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের আশ্বাস ইসিকে দিয়েছেন আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা সর্বাত্বক চেষ্ঠা করছি। এছাড়া নিবন্ধিত প্রতিটি দলকে নির্বাচনে আসার উদাত্ব আহবান জানাচ্ছি।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাথে দফায় দফায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হতে দেখা যায়।

এর আগে, ৩০ অক্টোবর রাজধানীর নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় ভোট সুষ্ঠু করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর প্রধান এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইসি জানান এখন পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্র ও শনিবার আবারো আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর সাথে মত বিনিময়ে বসছেন কমিশন।

এদিকে, দ্বিতীয় দফা শেষে তৃতীয় দফায় সরকার পতনে হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এই অবস্থায় কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারবে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, এখনো তেমন কোন প্রতিবন্ধকতার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারপরও তফসিলের পর পরিস্থিতি ভালো করতে কাজ চলছে কমিশনের।

বর্তমানে রাজনৈতিক সহিংসতা আছে এবং বিএনপি নির্বাচনে না এলে কমিশন সময়মতোই ভোট করবে মানে ভোট পেছানোর কোন সুযোগ থাকছে না মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক সাব্বির আহমদ বলেন, তখন দেখা যাবে সহিংসতা আরো বাড়বে। এরমধ্যই হয়তো আরেকটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে আমাদের দেশে। সবচেয়ে ভালো হতো যদি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এ সব সংকট সমাধান করতো।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাধা বা যারা সহিংসতা ছড়াবে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাহলে কি তফসিল ঘোষণার পরে এ সব বিরোধী দলগুলো নির্বাচন আয়োজনে বাধা দিবে বা নির্বাচন বন্ধে আন্দোলন করবে ? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাব্বির আহমেদ বলেন, যখন বড় কোন দল জাতীয় নির্বাচনে না আসে তখন দেখা যাবে প্রথম সারির নেতারা আন্দোলন সংগ্রামে না নামলেও তাদের কর্মী বা সমর্থকরা সহিংসতায় জড়িয়ে যায়। তবে, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কমিশনকে নির্বাচন করতে হবে।