1. admin@renesus.news : admin :
  2. Biddut@renesus.news : Biddut :
  3. renesus.news@gmail.com : renesus :
  4. info@renesus.news : shamaun :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

অধ্যক্ষকে মারধর: সেই এমপির বিরুদ্ধে তদন্তে মাউশি

রিপোটারের নাম :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন উইং) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করার জন্য মাউশির রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ জুলাই এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে আহ্বায়ক  করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে স্পিকারের  শরণাপন্ন হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৭ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন,  যদি কোনো সংসদ সদস্য এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকেন সেই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় হিসেবে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারব না। তবে আমরা মাননীয় ম্পিকারের শরণাপন্ন হতে পারি এবং তার কাছে একটি সমাধান চাইতে পারি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনে সেই পথ অনুসরণ করব।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জলাই রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী-তানোর আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী নগরীতে নিজ কার্যালয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে কিল-ঘুষি ও হকিস্টিক দিয়ে পেটান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হয় গত ১৩ জুলাই।

ওই ঘটনার পর অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বিষয়টি নিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একপর্যায়ে তিনি মুখ বন্ধ করে ফেলেন। অনেকটা গা-ঢাকা দেন তিনি। দুদিন ধরে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ফোনে কিংবা সরাসরি কোনো বক্তব্য না দিয়ে বুধবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি।

গত ১৪ জুলাই এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন সেলিম রেজা। রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজার পাশে ওমর ফারুক চৌধুরীর নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এতে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সম্মানহানি হয়েছে।

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘৭ জুলাই রাতে কোনো কলেজ শিক্ষককে আমি মারধর করিনি। এটা মিথ্যা কথা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করার জন্য এমন খবর প্রচার করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বসেছিলেন অভিযুক্ত ওমর ফারুক চৌধুরীর পাশেই। তিনিও দাবি করেন, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে মারধর করেননি।

সেলিম রেজা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে- সংসদ সদস্য আমাকে মারধর করেছেন, তা ঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কয়েকজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ঈদ উপলক্ষে এমপি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ সময় অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন এবং অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে এমপি মহোদয় আমাদেরকে নিবৃত্ত করেন। এ ছাড়া অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

মারধরের শিকার না হলে ঘটনার রাতে চিকিৎসকের কাছে কেন গেলেন- অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। তাতে সামান্য জখম হয়েছে।’

‘আমরা শুনেছি আপনার হাতে কনুইয়ের কাছে বড় জখম হয়েছে। কতটা জখম হয়েছে তা একটু দেখাবেন কি?’ সেলিম রেজা তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান।

এমপি না মেরে থাকলে তাকে কে মেরেছে- এমন প্রশ্নে তিনি আবারও বলেন, ‘সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে।’

এ সময় তার পাশে বসা গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল রাজু অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে ধাক্কা মারার দায় নিজের কাঁধে নেন।

এমপি ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অধ্যক্ষ রাজু বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে অধ্যক্ষ ফোরামের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমিই সব অধ্যক্ষকে ফোন করে ডাকি। সেখানে ফোরামের কমিটি গঠন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে আমি অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে ধাক্কা দেই। এ সময় সেখানে থাকা আলমারি ও চেয়ারে ধাক্কা খেয়ে সেলিম রেজা আহত হন।’

এমপি তাদের থামিয়েছেন বলে দাবি করেন রাজু। একজন সংসদ সদস্যের সামনে শিক্ষকদের এমন আচরণের জন্য তিনি ক্ষমা চান।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
কারিগরি সহযোগিতায়: সিসা হোস্ট